নিউজ স্রোত:
ঘন কুয়াশার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুতে দফায় দফায় টোল আদায় বন্ধ থাকায় বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে সেতুর পূর্বপ্রান্তে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা ও পশ্চিমপ্রান্তে সিরাজগঞ্জ রোড পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
সেতুর টোলপ্লাজা বৃহস্পতিবার(২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টা থেকে শুক্রবার(জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত দফায় দফায় কয়েক ঘণ্টা বন্ধ রাখায় মহাসড়কে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের কারণে যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে। এতে শিশু ও বয়স্ক যাত্রীরা বেশি কষ্টের শিকার হয়। গোড়াই হাইওয়ে থানার এলেঙ্গা ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘন কুয়াশার কারণে সেতুর ওপর দুর্ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে বেশ কয়েকবার টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এজন্য কয়েক ঘণ্টা সেতুর উপর দিয়ে যানচলাচল করতে পারেনি। তাই সেতুর দুই পাড়ে যানবাহন আটকা পরে গাড়ির দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়। পরে সেতুতে টোল আদায় শুরু হলেও মাত্রাতিরিক্ত গাড়ির চাপে ধীরগতিতে যান চলাচল করতে থাকে। এতেও থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়।
মালবাহী ট্রাক চালকরা জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপ্রান্তে সড়কের একদিকে মহাসড়ক উন্নয়নের কাজ চলছে। এতে একপাশ দিয়ে পরিবহন চলাচল করছে, এতে গাড়ির জট লেগেই থাকছে। অন্যদিকে ঘন কুয়াশার কারণে সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রাখায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাদেরকে মহাসড়কে কাটাতে হচ্ছে। কাঁচামাল নিয়ে সঠিক সময়ে ঢাকায় পৌঁছতে না পারলে ব্যবসায়ীরা চরম লোকসানে পড়বে। ইতোপূর্বে সেতুতে টোল আদায় বন্ধ থাকায় সঠিক সময়ে ঢাকা পৌঁছতে না পেরে চার হাজার ফুলকপি ট্রাকে রেখে ভাড়া না দিয়ে দুই ব্যবসায়ী লোকসানের ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী আইয়ুবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশা বেড়ে যায়। রাত ৯টার পর এর তীব্রতা আরও বাড়তে থাকে। ফলে সাড়ে ৯টার দিকে সেতু কর্তৃপক্ষ যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। রাতে টোল আদায় শুরু হলেও মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে। যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে বলেও তিনি জানান।