মির্জাপুর প্রতিনিধি ঃ
মির্জাপুরের গোড়াই হাটুভাঙ্গা বংশাই নদীর পাড়ে ইটভাটা গুলোতে অবাধে পাহাড়ের লাল মাটির ব্যবহার করা হচ্ছে। ইটভাটায় মাটি ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসক এর নিতে হলেও মির্জাপুর উপজেলার কোন ইটভাটা মালিকই আইন মানছেন না। আর ইটভাটায় ব্যবহারের জন্য কখনোই পাহাড়ের মাটি কাটা যাবে না। হাটুভাঙ্গা বংশাই নদীর পাড়ের সব ভাটাতেই অবাধে চলছে লাল মাটির ব্যবহার, যেন দেখার কেউ নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান ইটভাটা গুলো পাহাড়ের মাটি কাটে রাত ২/৩ টার সময়। তার পরেও আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। অনেক গাড়ী আটকিয়েছি, তাদের লাখ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং এই অভিযান নিয়মিত চলবে।
টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তর এর উপ পরিচালক মুহাম্মাদ মুজাহিদুল ইসলাম জানান ইটভাটায় মাটি ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসক এর অনুমতি নিতে হয় কিন্তু আমার জানা মতে বেশীর ভাগ ইটভাটা মালিক অনুমোদন ছাড়াই কৃষি জমি সহ পাহাড়ের মাটি কাটছে। আমরা এ বছরও টাঙ্গাইলের ১৯ টি ইটভাটার মালিককে ৮৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছি, আমাদের এই অভিযান নিয়মিত চলবে। পরিবেশ আন্দোলন কর্মী ও সবুজ পৃথিবীর সহসাধারন সম্পাদক সারমিন আলম জানান এভাবে পাহাড়ের মাটি কাটা একভাবেই ঠিক না। পাহাড়ের মাটি কাটার কারনে আমাদের পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে এখনই পাহাড়ের মাটিসহ কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। এবিষয়ে টাঙ্গাইলের সুযোগ্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাটুভাঙ্গা বংশাই নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে ৪০-৫০টি ইটভাটা। আর এইসব ইটভাটার কারনে এলাকায় নারী শিশুরা আছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।