তঃ
র্যাব তার প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতেই খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, জঙ্গীদমন, ছিনতাই, চাঁদাবাজ, চুরি, ডাকাতি এবং অবৈধ মাদক ব্যবসা ও চোলাচালানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করাসহ দূস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে অপরাধ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে এবং র্যাব-১২, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল এর আওতাধীন এলাকাগুলিতে ব্যাপকভাবে সফলতা অর্জন করেছে। গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ সার্বক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে র্যাব ইতিমধ্যে জনগনের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ২৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখে র্যাব-১২, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল কর্তৃক ০২টি টহল দল টিসিবির পণ্য দ্রব্য সামগ্রী অবৈধ ভাবে মজুদ করায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা যায় যে টিসিবির দায়িত্ব প্রাপ্ত ডিলার আবুল বাশার ট্রেডার্স খাদ্যবান্ধব চাউলও অবৈধ ভাবে মজুদ করছে।
র্যাব-১২, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল কোম্পানী কমান্ডার’কে বিষয়টি অবগত করলে সাথে সাথে একটি বিশেষ টিম গঠন করেন। পরবর্তীতে কোম্পানী কমান্ডার আবু নাঈম মোঃ তালাত এর নেতৃত্বে বিশেষ টিমটি পাকুল্লা, (ডিলারঃ আবুল বাশার ট্রেডার্স), মির্জাপুর গমন করে।
তথ্য অনুযায়ী বর্ণিত ডিলারের গুদামে অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ৫,০৪০ কেজি খাদ্যবান্ধব চাউল পাওয়া যায়। ফুড অফিসারের তথ্যানুযায়ী এপ্রিল মাসের সর্বমোট বিতরণের পরে অদ্য (২৫ এপ্রিল) গুদামে সর্বমোট ২,৪০০ কেজি চাউল (৪৮ বস্তা) থাকার কথা থাকলেও উক্ত গুদামে ২,৬৪০ কেজি (৫২ বস্তা ৪০ কেজি) চাউল বেশী পাওয়া যায়। বর্নিত চাউল সম্পূর্ণ রূপে ডিলার (আবুল বাশার ট্রেডার্স) কর্তৃক অবৈধ ভাবে মজুদকৃত এবং তা আতœসাৎ করার পরিকল্পনার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
খাদ্যবান্ধব চাউল অবৈধ ভাবে মজুদ রাখা এবং আত্নসাৎ এর পরিকল্পনার জন্য ফুড অফিসার, মির্জাপুর কর্তৃক আবুল বাশার ট্রেডার্স এর ডিলার শিপ বাতিল করা হয় এবং মির্জাপুর থানায় একটি নিয়মিত (র্যাব বাদী) মামলা দায়ের করা হয।
র্যাবের এ ধরনের খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, জঙ্গীদমন, ছিনতাই, চাঁদাবাজ, চুরি, ডাকাতি এবং অবৈধ মাদক ব্যবসা ও চোলাচালানসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম আভিযানিক চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে এই ধরণের অপরাধ প্রতিরোধ ও দমন কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে।